যখন করোনা মহামারীর সময় গোটা দেশ একপ্রকার থমকে গিয়েছিল, ঠিক তখন সবথেকে সমস্যায় পড়েছিল রাস্তার হকার বা ছোটখাটো ব্যবসায়ীরা। হ্যাঁ, দোকান-ব্যবসা বন্ধ, এমনকি আয়ও থমকে গিয়েছিল পুরোপুরি। ঠিক সেই সময় কেন্দ্র সরকার তাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী স্বনিধি যোজনা প্রকল্প (PM SVANidhi) চালু করেছিল।
এই প্রকল্পের আওতায় হকাররা কোনোরকম গ্যারান্টি ছাড়াই খুব সহজে ঋণ পেত। এবার সেই প্রকল্পে আরো বড়সড় সিদ্ধান্ত নিল মোদি সরকার। জানা যাচ্ছে, এই প্রকল্পে এবার ৯০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ মিলবে। তবে কীভাবে? চলুন জেনে নেব আজকের প্রতিবেদনে।
এবার ঋণের পরিমাণ ৯০ হাজার টাকা
আগে এই প্রকল্পে তিন কিস্তিতে মোট ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ মিলত। তবে নতুন নিয়ম অনুযায়ী, এবার সুবিধাভোগীরা পাবে ৯০ হাজার টাকা পর্যন্ত গ্যারান্টি মুক্ত ঋণ। প্রথম ধাপে ১৫ হাজার টাকা, দ্বিতীয় ধাপে ২৫ হাজার টাকা এবং তৃতীয় ধাপে আরও ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ মিলবে। অর্থাৎ, একবারে ৯০ হাজার টাকা হাতে না পেলেও নিয়মিত কিস্তি পরিশোধ করতে পারলে ধাপে ধাপে ৯০ হাজার টাকা পাওয়া যাবে।
প্রকল্পের মেয়াদ কত দিন পর্যন্ত?
উল্লেখ্য, প্রথমে এই প্রকল্প সীমিত সময়ের জন্য ছিল। তবে এবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা জানিয়েছে যে, ৩১ মার্চ, ২০৩০ পর্যন্ত এই প্রকল্প চালানো হবে। ফলে আরো বহু নতুন ব্যবসায়ী এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারবে। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, এই সিদ্ধান্তে প্রায় ১.১৫ কোটি হকার এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী উপকৃত হবে। এমনকি ৫০ লক্ষ নতুন সুবিধাভোগী যুক্ত হবে।
কত টাকা খরচ করছে কেন্দ্র সরকারের?
সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এই প্রকল্প চালাতে কোষাগার থেকে ৭৩৩২ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হবে। ইতিমধ্যেই 2025 সালের জুলাই মাস পর্যন্ত প্রায় ৬৮ লক্ষ মানুষকে ৯৬ লক্ষ ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। আর এর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৩,৭৯৭ কোটি টাকা।
আরও পড়ুনঃ আরও দিতে হবে চার্জ! ১ সেপ্টেম্বর থেকে বদলে গেল ব্যাংকের একাধিক নিয়ম
আধার কার্ড থাকলেই মিলবে ঋণ
সবথেকে বড় ব্যাপার, এই প্রকল্পে কোনোরকম জামিন বা বন্ধক রাখার দরকার নেই। শুধু আধার কার্ড দিয়েই ধাপে ধাপে ঋণ নেওয়া যায়। তবে শর্ত একটাই, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আপনাকে টাকা শোধ করতে হবে। চাইলে মাসিক ইএমআই দিয়েও পরিশোধ করতে পারেন।
তবে শুধুমাত্র ঋন নয়, বরং সুবিধাভোগীরা যারা দ্বিতীয় কিস্তি সময়মতো শোধ করতে পারবে, তারা পাবে একটি UPI-লিঙ্কড Rupay ক্রেডিট কার্ড। আর এই ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক খরচ চালানো আরো সহজ হয়ে উঠবে। এছাড়া ডিজিটাল পেমেন্টকে উৎসাহিত করে তুলতে ব্যবসায়ীদের ১৬০০ পর্যন্ত ক্যাশব্যাক দেওয়া হবে।